জামালপুরে সমাবেশের আগে ধরপাকড়ের অভিযোগ বিএনপির, ১৬ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামালপুরে বিএনপির ১৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য মনোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, রানাগাছা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সারোয়ার আলম ও তারেক জিয়া তরুণ প্রজন্ম দল জামালপুর জেলা শাখার সহসভাপতি প্রিন্স মাহমুদ। এ ছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে আরও নয়জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়, গায়েবি মামলা, নির্বিচার গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাল শনিবার জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের। বিএনপি নেতাদের দাবি, বিএনপির ওই কর্মসূচি পণ্ড করার জন্য পুলিশ নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা কেউ পরোয়ানাভুক্ত আসামি নন। শুধু আগামীকালের বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করতেই পুলিশ ধরপাকড়ের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গত রাতে অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতেও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এসব ধরপাকড় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে সমাবেশ পণ্ড করা যাবে না। আগামীকালের সমাবেশ যেকোনো মূল্যে সফল করা হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ আগের বিভিন্ন মামলা আছে। ওই সব মামলার আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলীয় কোনো কর্মসূচি পণ্ড করতে নয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের আজ আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।