কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন

ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জের কালান্দর গ্রামেছবি: প্রথম আলো।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে ১৯ জুলাই রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় নিহত হন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া। ২০ জুলাই ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের কালান্দর গ্রামে নিজ বাড়িতে তাঁকে দাফন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুরে কবর থেকে তাঁর লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত মাসুদ পারভেজ ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী ইউনিয়নের কালান্দর গ্রামের মৃত আবদুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ে কর্মরত ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা সেখানকার পিবিআই কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার পর তিনি বনশ্রী এলাকায় স্ত্রী-সন্তানের কাছে বাসায় চলে এসেছিলেন বলে স্বজনেরা জানান।

ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী ইউনিয়নের রায়েরবাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পিবিআইয়ের একটি দল কালান্দর গ্রামে এসে কবর থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার লাশ উত্তোলন করে। এ সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, লাশ উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মেরিনা আক্তার জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীরা নারায়ণগঞ্জে পিবিআই কার্যালয় পুড়িয়ে দিলে তাঁর স্বামী বনশ্রী এলাকায় তাঁদের বাসায় চলে আসেন। ১৯ জুলাই মাগরিবের নামাজের পর তিনি বাসা থেকে বের হন। পরে স্বামীর মুঠোফোন থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তির ফোনে জানতে পারেন, স্বামী রাস্তায় হামলার শিকার হয়েছেন।

মেরিনা প্রথম আলোকে বলেন, কে বা কারা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর স্বামীকে সড়কের পাশে ফেলে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করেছেন।