কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার বাবাকে হত্যার মামলায় তিন আসামি রিমান্ডে

আদালত
প্রতীকী ছবি

বরগুনায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার বাবাকে হত্যার মামলায় তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের বিচারক শরিয়াত উল্লাহ আসামিদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়া উদ্দিন ও বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই আসামিরা হলেন শ্রীরাম চন্দ্র রায়, মো. রফিক ও কালু।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরীকে (১৪) এক বখাটের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন সকালে ওই কিশোরীকে স্থানীয় পার্কে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি এলাকায় বাড়ির পাশের ঝোপে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর পুলিশ শ্রীরাম চন্দ্র রায়, মো. রফিক ও কালুকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আটক করে। পরে তাঁদের তিনজনকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাঁদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে কিশোরীর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য গতকাল মঙ্গলবার থেকে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল থেকে পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিন পালায় ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

কালীবাড়ি সর্বজনীন দুর্গামন্দির সভাপতি তপন চন্দ্র দাস বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে নিহত ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ সুপার মহোদয় পুলিশ মোতায়েন করেছেন। আগে আমাদের শঙ্কা থাকলেও হাইকোর্টের এই নির্দেশে আমরা শঙ্কামুক্ত। এতে আমরা এলাকাবাসী সন্তুষ্ট।’