সিলেটে নদ-নদীর পানি কমছে ধীরগতিতে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
সিলেটে নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে। বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই পয়েন্টে এই নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টায় সিলেটের কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ১২ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। সেখানে আজ দুপুর ১২টায় ৯ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায় সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। অমলশিদ ও শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানিও আগের তুলনায় কমেছে।
সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত থাকায় পানি ধীরগতিতে নামছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি কম হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাবে। যদিও আগামী তিন দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে আজ সকালে সিলেটে তেমন বৃষ্টি হয়নি। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ১৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সিলেটে আজ সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ থেকে ৮৯ মিলিমিটারের ওপরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।