২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রহিমা বেগমকে ‘অপহরণের’ অভিযোগে হওয়া মামলার চার আসামির জামিন

রহিমা বেগম
ছবি: সংগৃহীত

খুলনার আলোচিত ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম উদ্ধার ঘটনার ১০ দিন পর জামিন পেলেন ওই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগে করা মামলার চারজন। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন। আজ তাঁদের জামিন শুনানির পূর্বনির্ধারিত দিন ছিল।

জামিন পাওয়া চারজন হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও তাঁর ভাই মো. মহিউদ্দিন এবং মহেশ্বরপাশা এলাকার রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ভাই মো. জুয়েল। তাঁদের বিরুদ্ধে রহিমা বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগে দৌলতপুর থানায় মামলা করেছিলেন রহিমা বেগমের সন্তানরা। ওই মামলার তদন্তকালে পুলিশ ও র‍্যাব ওই চারজনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। অন্য দুজন হলেন রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার ও মহেশ্বপাশা এলাকার হেলাল শরীফ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ২৭ আগস্ট রাতে খুলনা দৌলতপুর খানাবাড়ী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিখোঁজ রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদী দৌলতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। পরদিন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী আক্তার দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু দমন আইনে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে রহিমা বেগমের  জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকার কথা উল্লেখ করে পাঁচজনকে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে নাম দেওয়া হয়েছিল।

এই মামলার পর নিখোঁজ রহিমা বেগমের আরেক মেয়ে মরিয়াম মান্নান  খুলনা ও ঢাকায় একাধিক মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করেন। তাঁর মাকে অপহরণ করে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। মায়ের সন্ধানের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন মরিয়াম মান্নান।

নিখোঁজ রহিমা বেগম ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার সৈয়দপুর গ্রামের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় রহিমা বেগম সন্তানদের ওপর রাগ করে নিজেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।