কক্সবাজারে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার, প্রচারপত্র জব্দ

উগ্রবাদী ১০টি বই, ২৯টি প্রচারপত্র, বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল, একটি ডায়েরিসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী উপকূলে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় উগ্রবাদী ১০টি বই, ২৯টি প্রচারপত্র, বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল, একটি ডায়েরি, দুটি মাদ্রাসার পরিচয়পত্র, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, দুটি মুঠোফোন ও ৪ হাজার ৫৯০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার জাকারিয়া মণ্ডল (১৯), ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মো. ওজায়ের (১৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১৫ ও র‌্যাব-৭।

গ্রেপ্তার তিনজনকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী। তিনি বলেন, চৌফলদণ্ডীর একটি আস্তানায় গোপন বৈঠক চলাকালে র‌্যাব তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনজনই মাদ্রাসাছাত্র। গ্রেপ্তার জাকারিয়া ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার একটি মাদ্রাসার ছাত্র। এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটির আমির সালাহ উদ্দিন ও বাংলাদেশের আমির ইসমাঈলের সঙ্গে জাকারিয়ার পরিচয় হয়। পরবর্তী সময়ে সংগঠনে যোগ দান করে জাকারিয়া দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘আস-শাহাদাত’ গ্রুপের ময়মনসিংহ ও জামালপুর অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি অনলাইনে মোবাইল হ্যাকিংয়ে পারদর্শী।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৫–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযান ও নজরদারির মাধ্যমে জঙ্গি দমনে র‌্যাব তৎপর রয়েছে। পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আমির ও শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ শতাধিক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তা ছাড়া নিষিদ্ধঘোষিত আনসার আল ইসলাম, হুজিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধেও র‌্যাবের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত আনসার আল ইসলাম ও হুজিসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে তিন হাজারের বেশি এবং হোলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় দুই হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে র‌্যাব।

র‍্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তার তিনজন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল–কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগদান করেছিলেন।