বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়ানো সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বরেছবি: প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়ানো সবচেয়ে বড় অন্যায় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের অর্ধেকটা পুড়ে-জ্বলে ছারখার হয়ে যেত, কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পোড়া মানে অসভ্যতার শেষ সীমায় আমরা পৌঁছে গেছি। যারা আজকে সরকারে আছে, আন্দোলনে সফল হয়েছে, তারা এর সঙ্গে নেই, এ কথা তাদের বলা উচিত ছিল এবং দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা প্রায় সব সময় ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করি এবং করি। যখন যে ক্ষমতাবান থাকে, সে ইতিহাসের মহানায়ক সাজতে চায়। কিন্তু সেটা সত্য নয়। অতীতকে ভুলে গেলে বর্তমান যেমন নিপতিত হবে, ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। আমি একটা কথাই বলব, স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার বীর সৈনিকদের মূল্য দিতে হবে, শহীদদের মূল্য দিতে হবে, স্বাধীনতার নেতাদের মূল্য দিতে হবে। তাদের অস্বীকার করে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। এই ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে কোনোমতেই অস্বীকার নয়।’

বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছিল নির্বাচনের রায়কে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে উল্লেখ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে। সেটা বারবার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে এবং চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সফলতা এই দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের ইচ্ছার সময়ের মধ্যে নির্বাচনে না হলে মানুষ বিক্ষুব্ধ হবে। শেখ হাসিনার প্রতি যেমন বিক্ষুব্ধ হয়েছিল, তার চেয়েও হয়তো বেশি বিক্ষুব্ধ হবে।

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উল্লেখ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার জন্ম একবারই হয়। জন্মের পরে মৃত্যু যেমন, স্বাধীনতা তেমনি। কিন্তু বিজয় মাঝে মাঝেই আসে। একটি বিরাট কিছু তার মধ্য দিয়ে অর্জন হয়। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সত্যিই একটা জাতির ঐতিহাসিক বিজয় এসেছে। এই দেশ মানুষের দেশ, সেই দেশকে মানুষের চাহিদা মতো পরিচালিত করা হয়নি। সে কারণে, মানুষের বিক্ষোভের কারণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সফলতা এসেছে।