বরিশালে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল দাবিতে বিক্ষোভ

বরিশালে বিদ্যুতের প্রি–পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। অবিলম্বে এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে নাগরিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।    

বিদ্যুতের প্রি–পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বরিশালের গ্রাহকদের পক্ষে বরিশাল নগরে দায়িত্বপ্রাপ্ত পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার (ওজোপাডিকো) বরিশাল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১–এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরের চাঁদমারি এলাকায় সংস্থাটির কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সমন্বয়ক দেওয়ান আবদুর রশিদের নেতৃত্বে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির নির্বাহী সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক রুবিনা ইয়াসমিন, অর্থ সম্পাদক ইয়াসমিন সুলতানা, সাবেক শিক্ষক মাসুদ চৌধুরী, সমাজসেবক বিলিয়ন পলাশ, শ্রমিকনেতা আব্দুল মান্নান মিয়া, ব্যবসায়ী লিটন হাওলাদার, শাখাওয়াত হোসেন, ছাত্রনেতা আকিউর রহমান, রাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের বাতিলের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা চাঁদমারি বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা  বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব লুটপাটের দায় চাপছে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ওপর। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি  বারবার মিটার পরিবর্তনসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকেরা। বরিশালে প্রি–পেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে আর একটি হয়রানির ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে।

সমাবেশে অংশ নেওয়া গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘আমরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে জেনেছি, এটা একটি জটিল মিটার। এই মিটার ব্যবহারকারীরা সীমাহাীন ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ কারণে বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করলে ব্যবহারকারীরা একইভাবে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হবেন। আমাদের দাবি, ওজোপাডিকো বরিশালে যে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে এই দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ওজোপাডিকো কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।