টঙ্গীতে বিভিন্ন দাবিতে ৪ কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ, উৎপাদন বন্ধ

কর্মবিরতির একপর্যায়ে কারখানায় বিক্ষোভ শুরু করেন গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে টঙ্গীর মা টাওয়ার এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকে নিজ নিজ কারখানার সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এতে বন্ধ আছে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম।

ওই কারখানাগুলো হলো মেঘনা সড়ক এলাকার এমট্রানেট গ্রুপের গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ লিমিটেড ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানা; খাঁ পাড়া এলাকার সিজন ড্রেসেস লিমিটেড ও টঙ্গী বিসিকের টসিনিট কারখানা। এসব কারখানায় সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

আরও পড়ুন

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কর্মকর্তার পদত্যাগ, ঈদ বোনাস, পর্যাপ্ত ছুটিসহ মোট ১৩ দফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার কারখানার ভেতর দিনভর কর্মবিরতি পালন করেন গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় আজ সকাল থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। একপর্যায়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভে নামেন কিছু শ্রমিক। এদিকে একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন টসিনিট কারখানার শ্রমিকেরাও।

সিজন ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া আছে। প্রতিবাদে গতকাল সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। এর মধ্যে বাকি অর্ধেক বেতনের দাবিতে আজ সকাল থেকে কারখানার ভেতর কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা।

আরও পড়ুন

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহাকারী পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ওই চার কারখানার শ্রমিকদের নানাভাবে বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট ছয় দফা দাবিতে গাজীপুরে প্রথমবার আন্দোলন শুরু করেন টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। এরপর ধীরে ধীরে অন্য কারখানাতে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকেরা।

আরও পড়ুন

মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও শুরু হয় শ্রমিক আন্দোলন। এরপর প্রতিদিনই বিক্ষোভ লেগে ছিল। দাবি আদায়ে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। সহিংসতা ও ক্ষতি এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনেক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত দুই দিন পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক হয়েছে। এতে বন্ধ কারখানাগুলোও চালু হয়েছে। কিন্তু গতকাল থেকে আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।