আবাসিক হল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে ক্যাম্পাস সুরক্ষার দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে ক্যাম্পাস সুরক্ষিত করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। আজ শুক্রবার ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব ও সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানান।

তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, শহীদ সালাম-বরকত ও মওলানা ভাসানী হলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং গণরুম-গেস্টরুম প্রথা বাতিল করা।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের ছত্রচ্ছায়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ক্ষমতার অসুস্থ বহিঃপ্রকাশ। গত ১৬ ও ১৭ মে শহীদ সালাম-বরকত হলে শিক্ষার্থী সায়েম হাসানকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে নিপীড়ন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আরেক ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট মওলানা ভাসানী হলের ১২৬ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান ইমনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরমান খানের বিরুদ্ধে। আরমান ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খানের ছোট ভাই। নির্যাতনের সময় জাহিদের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। আবাসিক হলগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানি এখন দৈনন্দিন ঘটনা। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হয়েও আবাসিক হলে টর্চার সেল পরিচালনা করার মতো ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো রকম সহিংসতার আশঙ্কায় ছাত্র ইউনিয়ন শঙ্কিত।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, দুটি ঘটনায় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে নিপীড়নকারীদের বাঁচাতেই তৎপর ভূমিকা পালন করছে। ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি ছাত্রলীগকে দিনকে দিন আরও বেপরোয়া করে তুলছে। ক্ষমতা কাঠামো টিকিয়ে রাখতে ছাত্রলীগ ও প্রশাসন যৌথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, যার ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের কার্যক্রম এখন শুধুই লোকদেখানো এবং অকার্যকর তদন্ত কমিটি গঠনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।