আমরা গামছা মার্কারা ভোটের অধিকার চাই: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে কোনো নির্বাচন হয় না। মানুষের ভোটের কোনো অধিকার নাই। আমরা গামছা মার্কারা ভোটের অধিকার চাই। শুধু ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আল্লাহ চাইলে আবার না–ও হতে পারে। এই নির্বাচন ’৭১ সালের মতো যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। মাথা নত করে এক বছর বাঁচার চেয়ে মাথা উঁচু করে সম্মান নিয়ে এক দিন বাঁচা ভালো।’
আজ বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার মোখতার ফোয়ারা চত্বরে আয়োজিত নির্বাচনী শেষ পথসভায় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে নিজের দল থেকে গামছা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী নৌকার কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বেকুবদের বলি, এবার ভোটকেন্দ্রে ভোটার আমার দরকার না, কেন্দ্রে বেশি ভোটার দরকার শেখ হাসিনার। কারণ, বাইরের দুনিয়ার কাছে শেখ হাসিনার মুখ দেখাতে হবে। সেই জন্য বলি, ভোটকেন্দ্রে আপনারা যাবেন। মা-বোনদের নিয়ে যাবেন। আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিবেন।’
‘ভোটচোরদের’ হুঁশিয়ার করে দিয়ে নিজ দলের কর্মীদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এবার যে ভোট চুরি করতে কেন্দ্রে যাবে, তাকে ধরে আমার কাছে নিয়ে আসবে। যে ভোটচোর ধরতে পারবে, তাকে সম্মানজনক পুরস্কার দেওয়া হবে। পাঁচটা জাল ভোট ধরতে পারলে এবার রেকর্ড হবে।’ সরকারি কর্মচারী ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বঙ্গবীর বলেন, ‘আপনারা আইন মেনে কাজ করবেন। আপনারা যদি একটু এদিক–সেদিক করেন, তাহলে কিন্তু পরে কষ্ট করবেন। সেদিনের কথা মনে রাখবেন।’
নিজ এলাকার ভোটারদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আটিয়া বন অধ্যাদেশের জাঁতাকলে সখীপুরের পাহাড়ের মানুষ নিষ্পেষিত। আমরা এই কালো আইন বাতিল চাই। এটা আমরা বাতিল করবই। মানুষ তার নিজের জমির খাজনা দিতে পারে না। জমি কেনাবেচা করতে পারে না। সারা দেশে বন এক আইনে চলবে। সখীপুরে এক আইন, অন্য জেলায় আরেক আইন চলবে না। আমি নির্বাচিত হলে ছয় মাসের মধ্যে যদি তোমরা খাজনা দিতে না পারো, তাহলে আমি আমার হাতে চুড়ি পরব।’
উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুস সবুর খানের সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীর ভাই আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, আলমগীর সিদ্দিকী প্রমুখ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় (নৌকা)। তা ছাড়া এ আসনে আরও চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির পারুল আক্তার (সোনালী আঁশ), বিকল্পধারা বাংলাদেশের আবুল হাশেম (কুলা) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোস্তফা কামাল (ডাব)।