সিংড়ায় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের হামলায় আরেক পক্ষের ছয়জন আহত
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার কলম ইউনিয়নের নুরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন। একই পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন মইনুল হক। এর পর থেকে উভয় পক্ষের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন একটি দলীয় অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ না জানানোর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে নাছির উদ্দিনের সমর্থক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এমদাদুল হক দলীয় কর্মীদের নিয়ে বাজারে বসে ছিলেন। এ সময় চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত তাঁদের ওপর হামলা করে। এমদাদুল হক, আসাদুজ্জামান এবং কলেজশিক্ষক মো. কাজলকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের রক্ষা করতে এলে আরও তিনজনকে আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ ছুটে যান এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এমদাদুল হক, আসাদুজ্জামান ও মো. কাজলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন এ ঘটনার জন্য কলম ইউপির চেয়ারম্যান মইনুল হক ও তাঁর অনুসারীদের দায়ী করেন এবং শাস্তি দাবি করেন। তবে চেয়ারম্যানের ভাতিজা মো. আসাদ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তাঁর চাচা চেয়ারম্যান মইনুল হক বা তাঁর অনুসারীরা কাউকে আঘাত করেননি।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ নুরপুরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।