নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আটক ২

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়
ছবি: দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার শিমরাইলে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য জড়ো হতে থাকা নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেনসহ দুজনকে আটক করা হয়।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ কয়েকটি শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শটগানের গুলি ছুড়ছে পুলিশের এক সদস্য
ছবি: প্রথম আলো

এদিকে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা আছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মুক্তি সরণি এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। সেখানে জেলা বিএনপির নেতা শহীদুল ইসলামসহ ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মীকে জড়ো হতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিলে তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মহাসড়ক ছেড়ে ভেতরের সড়কের দিকে চলে যান।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন খানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ
ছবি: প্রথম আলো

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা শুরু করলে গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে থেকে ছয়-সাতজনকে আটক করে। এ ছাড়া আসার পথে মুঠোফোন চেক করে তাঁদের কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, কাউকে আটক করা হয়নি। তবে পুলিশ তৎপর আছে।

এদিকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল ও মিনি ট্রাকে করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাঁচপুর থেকে সাইনবোর্ড এলাকার দিকে যেতে দেখা গেছে। সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে সেখানে জলকামান ও এপিসি কার নিয়ে সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ব্রিফ করেন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। এ সময় সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ–বিএনপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ও মিনি ট্রাকে মহড়া দিতে দেখা যায়
ছবি: প্রথম আলো

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ডিএমপি থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ যান চলাচল বন্ধ ও জনগণের নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।