কলাপাড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের ৫১ জনের নামে মামলা

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৫১ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বাস শফিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গত বছরের ৩০ আগস্ট উপজেলা বিএনপির নতুন বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছে।

মহিববুর রহমান ছাড়াও মামলাটির উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার উদ্দিন আহমেদ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান, চকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ওরফে কেরামত হাওলাদার, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. তারেকুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান, বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম হুমায়ুন কবীর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান অমি গাজী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ৩০ আগস্ট উপজেলা বিএনপির নতুন বাজার এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালান। রামদা, ছেনা, বগি, রড ও দা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। এ সময় দলীয় কার্যালয়ে থাকা দলটির নেতা-কর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন আসামিরা। বিএনপির নেতা-কর্মীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ মামলার আসামিরা তখন দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও ভেতরে ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এতে দলের কার্যালয়ের ভেতর থাকা নেতৃবৃন্দ ও আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
ওই সময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা জানমাল রক্ষার জন্য দোকানপাট দ্রুত বন্ধ করে চলে যান। এরপর এ মামলার আসামিরা বিএনপি কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করেন। এতে কার্যালয়ের চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ছাড়া কার্যালয়ের ২০টি সিলিং ফ্যান, ১টি রঙিন টিভি, ৭টি স্ট্যান্ড ফ্যান লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ মামলার কয়েকজন আসামি কার্যালয়ের আলমারি ভেঙে মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যান।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, এ মামলার বাদী কলাপাড়া থানায় খবর দিলে থানা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়। ওই সময় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হয়। তবে আসামিদের ক্ষমতা ও প্রভাবের কারণে তখন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেননি ভুক্তভোগীরা।

কলাপাড়া থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।’