বগুড়ায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে তরুণ নিহত
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর পিটুনিতে রাকিব হোসেন (২৫) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে কাহালু উপজেলার একটি হিন্দুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিব হোসেন নানা অপরাধে যুক্ত ‘আতা বাহিনীর’ সক্রিয় সদস্য বলে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান দাবি করেছেন।
কাহালু থানার ওসি আরও বলেন, রাকিবের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা বিচারাধীন। রাকিবের বাড়ি কাহালু উপজেলার পরিশেষ গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সামছুল ফকির।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাহালু উপজেলার একটি হিন্দুপাড়ার এক তরুণীকে এক তরুণ বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তরুণীর বাবা মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। বিয়ের পর সম্প্রতি ওই তরুণী বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে ওই তরুণ ভাড়াটে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আতা বাহিনীকে নিয়ে গতকাল রাত ১০টার দিকে ওই তরুণীর বাড়িতে যান। এ সময় তরুণীর বাবার কাছে আতা বাহিনীর দলনেতা আতা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, মেয়ের সম্মানের কথা ভেবে তরুণীর বাবা আতা বাহিনীর সদস্যদের ২ হাজার টাকা দিতে চান। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে আতা বাহিনীর ৮ থেকে ১০ জন সদস্য তরুণীর বাবাকে মারধর শুরু করেন। এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাঁকেও এলোপাতাড়ি মারধরসহ ছুরিকাঘাত করে। বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে এ সময় গ্রামের লোকজন এক হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা নিতে আসা আতা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া করেন। গ্রামবাসীর ধাওয়ায় পালানোর সময় আতার সহযোগী রাকিব হোসেন মাটিতে পড়ে যান। এরপর গ্রামবাসী তাঁকে আটক করে পিটুনি দেন। ঘটনাস্থলেই রাকিবের মৃত্যু হয়।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, রাকিব হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আতা বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।