রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে আজ শুক্রবার সকাল থেকে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রংপুর জেলা বাস মালিক সমিতি। এতে বেশ কিছু জেলার মালিক সমিতি সমর্থন জানালেও নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেয়নি। তবে তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। এ জন্য আগামীকালের সমাবেশে যোগ দিতে নানা উপায়ে রংপুরে যাচ্ছেন নীলফামারী বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম আজ বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাস ধর্মঘটের আশঙ্কায় আমাদের অনেক নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে রংপুরে পৌঁছেছেন। এখন কার, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে নিজ উদ্যোগে রংপুরে যাচ্ছেন। নীলফামারী থেকে ১০ হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক যাওয়ার কথা থাকলেও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততায় মনে হচ্ছে, এ সংখ্যা আরও বেশি হবে।’
ধর্মঘটের কারণ হিসেবে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ কয়েকটি দাবির কথা উল্লেখ করেছে রংপুরের বাসমালিকদের সংগঠনটি। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, গণসমাবেশ বানচাল করতেই এই ‘অপকৌশল’ নেওয়া হয়েছে। রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আগামীকাল হওয়ার কথা।
রংপুরের বাসমালিকদের ডাকা ধর্মঘটকে ‘অজুহাত’ দেখিয়ে নীলফামারীতে আজ সকাল থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কার, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মাইক্রোবাসমালিক ও চালক মো. জাভেদ আলী বলেন, নীলফামারীতে কার ও মাইক্রোবাসের চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে রংপুরে কার গেলেও ভাঙচুরের ভয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেন না চালকেরা।
জেলা বাস–মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নীলফামারী থেকে কোনো ধর্মঘটের ডাক দিইনি। সড়কে অবৈধ নছিমন, করিমন, ভটভটি ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধের দাবিতে রংপুর বাস মালিক সমিতি এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তারা আমাদের বাস বন্ধ রাখার আহ্বান জানায়। আজ যাত্রীও কম থাকে, এ কারণে আমরা বাস চালানো বন্ধ রেখেছি।’ তবে ট্রাক, লরি, কার ও মাইক্রোবাস চলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।