নরসিংদীতে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
নরসিংদী শহর, রায়পুরা ও শিবপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষক, অটোরিকশাচালক ও মোটরসাইকেল আরোহী রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা মারা যান।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন নরসিংদী শহরের বিলাসদী এলাকার জয়নাল উদ্দিনের ছেলে আইন উদ্দিন (৬০), রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের দড়িহাইরমারা গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২০) এবং শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০)।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জব্বার জানান, দড়িহাইরমারা গ্রামে জমি চাষের সময় সাব্বির হোসেন নামের একজন কৃষক পেছন থেকে ট্রাক্টরের ওপর ওঠার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পিছলে গিয়ে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যার নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সারোয়ার জানান, আজ বেলা একটার দিকে শিবপুরের কারারচরে মদিনা জুট মিলের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিলেটগামী একটি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী রফিকুল ইসলাম ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত উদ্ধার করে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেন। এই হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল চারটায় তিনি মারা যান। কাভার্ডভ্যানটি আটক করতে পারলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানান, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিলাসদী এলাকায় আইন উদ্দিন নামের একজন অটোরিকশাচালক পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনাবশত সড়কে ছিটকে পড়লে তাঁর ওপর দিয়ে অটোরিকশার সামনের চাকা চলে যায়। গুরুতর কিছু হয়নি ভেবে তাঁকে বাড়িতে নেওয়া হয়। আজ সকালে বুকের ব্যথা নিয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নরসিংদী শহরের বিলাসদী, রায়পুরার দড়িহাইরমারা ও শিবপুরের কারারচরে পৃথক দুর্ঘটনার শিকার তিনজনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার পর একজন, হাসপাতালে আনার পথে একজন ও ঢাকায় নেওয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।’