টেকনাফে কিশোরকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
কক্সবাজারের টেকনাফে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছেন টেকনাফের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব উখিয়া-টেকনাফ (ডুসাট) আয়োজিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মোর্তাজা হোসেন এবং সদস্য ফারজানা আক্তার, নুরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কর্মসূচিতে জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বাবাকে না পেয়ে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে টেকনাফ থানার ওসির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
কর্মসূচির আয়োজকেরা জানান, ২৬ নভেম্বর ওই কিশোরকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের অভিযানে ১টি পিস্তল, ৬টি গুলি, ৪০টি কার্তুজসহ ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানার (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ সত্য নয়। হাতে অবৈধ অস্ত্র-গুলি পাওয়ায় ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আটক কিশোরের বাবা তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি এবং তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্রের মামলাও রয়েছে।