সড়কে ছিটকে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু , বেঁচে গেল কোলে থাকা মেয়েসহ তিন সন্তান
ঈদ উপলক্ষে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি রওনা দিয়েছিলেন গৃহবধূ সুবর্ণা আক্তার (৩৫)। সঙ্গে ছিল তিন সন্তান। কিন্তু বাবার বাড়ি আর পৌঁছানো হয়নি তাঁর। এর আগেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান তিনি।
গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি–লিচুবাগান সড়কের লিচুবাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবর্ণা আক্তার মারা গেলেও তাঁর আড়াই বছর বয়সের সন্তান রাইসাসহ তিন সন্তান বেঁচে গেছে।
নিহত সুবর্ণা আক্তার শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের মেয়ে এবং পাশের ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি গ্রামের মো. শামীমের স্ত্রী।
গতকাল শনিবার রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে সুবর্ণার মৃত্যু হয়। একই হাসপাতালে তাঁর মেয়ের চিকিৎসা চলছে।
সুবর্ণার চাচা মো. জাকির হোসেন ও মো. আপেল প্রথম আলোকে বলেন, বাবার বাড়ি আসার জন্য গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠেছিলেন সুবর্ণা। তাঁর সঙ্গে ছিল তিন সন্তান।
সুবর্ণা আড়াই বছর বয়সী মেয়ে মোসা. রাইসাকে কোলে নিয়ে অটোরিকশায় বসে ছিলেন। হঠাৎ তাঁদের বহন করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি সামনের আরেকটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে প্রচণ্ড গতিতে মোড় নেয়। এতে সুবর্ণা তাঁর কোলের সন্তানসহ রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি অটোরিকশা তাঁকে চাপা দেয়। এতে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। সুবর্ণার কোলের সন্তানটিও আহত হয়। এই সময় অটোরিকশায় তার অপর দুই সন্তানের কোনো ক্ষতি হয়নি।
পরে সুবর্ণা ও তাঁর কোলে থাকা সন্তানকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন প্রথমে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১১টার দিকে সুবর্ণার মৃত্যু হয়। সুবর্ণার অপর দুই সন্তান শ্রীপুরে নানা বাড়িতে আছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কুদ্দুস মিয়া বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়ে কেউ থানাকে অবগত করেনি। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।