মেরিন একাডেমিতে শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

মেরিন একাডেমিতে শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেনছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘মেরিন একাডেমির ৫৮তম ব্যাচের ২৩৮ জন ক্যাডেট সমুদ্রে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন। এ ব্যাচের নটিক্যাল শাখায় ১১৮ জন ও ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ১২০ জন মিলিয়ে ২৩৮ জন ক্যাডেট দুই বছর ধরে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তাঁরা প্রশিক্ষিত হয়ে দেশি-বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদান করবেন। এসব ক্যাডেট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’

এম সাখাওয়াত হোসেন আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৮তম ব্যাচ ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ৫৮তম ব্যাচ ক্যাডেটদের মধ্যে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মো. মিনহাজ সাদমানকে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। পাশাপাশি এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারী নৌ শাখার মো. ইবনে ফয়সাল তানভীর মজুমদার ও প্রকৌশল শাখায় ইফাদ হাসান অনীককে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের রৌপ্যপদক দেওয়া হয়।

মেরিন একাডেমি সূত্র জানায়, ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৬২ বছরে এই একাডেমি থেকে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ জন ক্যাডেট প্রশিক্ষিত হয়েছেন। তাঁরা দেশি–বিদেশি বিভিন্ন জাহাজে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। শুধু তা–ই নয়, মেরিন পেশাজীবীদের মাধ্যমে দেশে বছরে রাজস্ব আসে তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে।

ওই সূত্র আরও জানায়, মেরিন একাডেমির প্রশিক্ষণমান আন্তর্জাতিক মানের হওয়ায় ২০১৯ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও লাভ করে। বিএসএমআর মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত হওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির নটিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স সম্মান কোর্স চালু করা হয় এবং ব্যাচগুলোর কোর্স সম্পন্ন করা হয়।