অনেকে বলে রাজনীতি আমি বুঝি কম, কম বুঝেই আমি খুশি: নায়াব ইউসুফ

শায়লা কামালের মৃত্যুতে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। সোমবার ফরিদপুর সদরের কমলাপুর ময়েজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠেছবি: প্রথম আলো

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেছেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে যে রাজনীতি দেখেছি তা হলো মানুষের জন্য কল্যাণের রাজনীতি। এর চেয়ে বেশি রাজনীতি আমি দেখি নাই, এর থেকে বেশি রাজনীতি বুঝি নাই।’
আজ সোমবার ফরিদপুরে নায়াব ইউসুফের মা শায়লা কামালের মৃত্যুতে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। কামাল ইউসুফ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ফরিদপুর সদরের কমলাপুর ময়েজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি এ বি এম সাত্তার।

‘অনেকে বলে রাজনীতি আমি বুঝি কম, কম বুঝেই আমি খুশি’—উল্লেখ করে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আজকে আমি যা, রাজনীতিতে যতটুকু আমি করেছি, পেরেছি তা সম্ভব হয়েছে আমার পরিবারের জন্য। আমার যে শিক্ষা, তা আমার পরিবারেরই শিক্ষা। আমি যে রাজনীতির ধারাবাহিকতায় এসেছি, সে রাজনীতি হলো নীতি–আদর্শের রাজনীতি। কারণ আমার পরিবারে যে রাজনীতি করে এসেছে, যে ভালোবাসা অর্জন করেছে তারই প্রতিফল হলো আমার এ রাজনীতি।

বিএনপির নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি নতুন ফরিদপুর গড়ে তুলি। যে ফরিদপুরে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নীতি–আদর্শ মেনে বড় মনের পরিচয় দিয়ে আমরা রাজনীতি করতে পারি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল হোসেন ও জুলফিকার হোসেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কাইয়ুম জঙ্গী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সহধর্মিণী শায়লা কামাল (৭৬) ১২ মার্চ ভোরে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।