হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালানো স্বামী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে রিমা আক্তার (১৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়া তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাবের একটি দল।

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ খুলশী এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই কিশোরীর স্বামীর নাম পারভেজ মিয়া (৩০)। তিনি নান্দাইল উপজেলার পশ্চিম শিবনগর গ্রামের সাফায়েত উল্লাহর ছেলে। পাঁচ মাস আগে তিনি রিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। রিমা উপজেলাটির আচাগাঁও ইউনিয়নের কোনাডাংগর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে। রিমা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে পারভেজ মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু পারভেজ বিবাহিত ছিলেন।

র‍্যাব জানায়, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ খুলশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-১৪ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রিমা আক্তারকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত অবস্থায় ফেলে যান পারভেজ। এ ঘটনার পরদিন নান্দাইল মডেল থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়। রিমার বড় ভাই মীর আলম আবদারের করা মামলাটির প্রধান আসামি পারভেজ মিয়া।

মামলায় বলা হয়, ঘটনার পাঁচ মাস আগে রিমাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেন পারভেজ মিয়া। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে তাঁদের সংসারে ঝগড়াবিবাদ দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ ডিসেম্বর সকাল আটটার দিকে রিমা আক্তারকে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন পারভেজ। পরে রিমাকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে রিমার লাশ রেখে পারভেজসহ অন্য আসামিরা পালিয়ে যান।

র‍্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর র‌্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রধান অভিযুক্ত পারভেজকে গ্রেপ্তারের পর আজ নান্দাইল থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।