মাদারীপুরে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ২৫টি বসতঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৪টি বসতবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রোববার দুপুরে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৮টি দোকানসহ অন্তত ১৪টি বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি তিনটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুজাম সরদারের সঙ্গে দুলাল চৌকিদারের বিরোধ চলছিল। গতকাল শনিবার রাতে জেলা যুবদলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে মুজাম সরদার ও তাঁর লোকজন গরু জবাই করে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর প্রতিপক্ষ দুলাল চৌকিদারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে মুজাম সরদার, মালেক আকন, হামেদ আকনদের বাড়িতে হামলা চালান। খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। উভয় পক্ষের ৮টি দোকানসহ কমপক্ষে ১৪টি বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও ৩টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মুজাম সরদার অভিযোগ করে বলেন, ‘বিনা উসকানিতে লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর প্রথমে হামলা করে দুলাল চৌকিদার। হামলা প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের লোকজনের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে তারা লোকজন নিয়ে আমাদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে দুলাল চৌকিদার বলেন, ‘মুজাম এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে এই হামলা চালিয়ে এখন আমাদের নামে অভিযোগ দিচ্ছে। আমরা এলাকায় শান্তি চাই। কোনো সংঘাত বা মারামারি চাই না।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় দলাদলি, আধিপত্য ও জায়গাজমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ ছিল। দুই পক্ষের হামলা–পাল্টাহামলায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী সময়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।