মানিকগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের মানববন্ধনে বাগ্বিতণ্ডা, হট্টগোল
মানিকগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ব্যানারের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সংগঠনের দুই নেত্রীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একে অপরের ওপর চড়াও হন তাঁরা। পরে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ রফিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ। দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ রফিক সড়কে মানববন্ধনে দাঁড়ান ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনটির ৩৫–৪০ নেতা-কর্মী। কর্মসূচির ব্যানারের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা আক্তার ও মানিকগঞ্জ পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী মুক্তা আক্তারের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে তুমুল বাগ্বিতণ্ডার ঘটনায় কর্মসূচিস্থলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেত্রীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে কর্মসূচিতে বক্তব্য শুরু করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মৃদুলা ঘোষ বক্তব্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন। এর পরপরই আবার ওই দুই নেত্রী বাগ্বিতণ্ডা ও ঝগড়া জড়িয়ে পড়েন।
সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা আক্তার বলেন, ‘ছবি তোলার জন্য ব্যানার সরানোর কথা বললে তিনি (মুক্তা আক্তার) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ জন্য আমি প্রতিবাদ করেছি।’
উল্টো অভিযোগ করে মুক্তা আক্তার বলেন, ব্যানার টেনে নেওয়ার সময় বাধা দিলে সালমা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সালমা সব সময় আধিপত্য দেখানোর চেষ্টা করেন। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষেও তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
খবর পেয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পাশের জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসেন। এরপর বিষয়টি মীমাংসা করে দেন জেলা আওয়ামী লীগের ওই নেতা।
ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সুলতানুল আজম। তিনি বলেন, ‘ব্যানারের সামনে দাঁড়ানোকে নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক, আমরা তা চাই না। পরে দুজনকে শাসন করে দিয়েছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তাঁদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।’
বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে জানিয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মৃদুলা রহমান বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে দুই নেত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে।