ঝিনাইদহে ২০০ অসহায় শীতার্তকে প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল বিতরণ
‘যারা কম্বলের জন্য ছুটে বেড়ায়, তারাই শুধু পায়। আমরা ছুটতি পারিনে, তাই পাইনে। তবে আপনারা খুঁজে খুঁজে দেন; দেখেন, কার আসলেই দরকার। এবার আমার বাড়িতে যেয়ে কাগজ দিয়ে আসলেন, সেই কাগজ নিয়ে এসে কম্বল পালাম। খুব খুশি লাগছে। শীতে অনেক কষ্ট করছি, এবার কষ্ট দূর হবে।’ কম্বল হাতে পেয়ে কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম (৮০)।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ শহর ও কালীগঞ্জের চাপালী গ্রামে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ২০০ অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সহায়তায় এসব কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল পাওয়া ব্যক্তিদের একজন ছিলেন অশীতিপর রোকেয়া বেগম।
প্রথম আলো ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে প্রথমে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন এরিয়ার উন্মুক্ত মাঠে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে চাপালী গ্রাম ঘুরে অসহায় শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ঝিনাইদহ বন্ধুসভার সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল বিতরণের স্লিপ দিয়ে আসেন। সেটি দেখিয়ে নির্দিষ্ট স্থান থেকে এসব কম্বল সংগ্রহ করেন শীতার্ত ২০০ জন মানুষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার উপদেষ্টা সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুষেন্দু ভৌমিক, ইসাহক আলী, শাহীনূর আলম, সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান, মাসুম পারভেজ, সমাজকর্মী আবদুর রহিম, বন্ধুসভার সভাপতি ফিরোজ আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, কম্বল বিতরণ কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল আনাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আসা বয়োবৃদ্ধ রহমত আলী কম্বল পাওয়ার পর প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন আর হাঁটাচলা করতে পারি না, বাড়িতে শুয়ে দিন কাটে। এ বছর খুব শীত। কষ্ট করেই দিন পার করছি। এখন কম্বল পাইয়ি খুব ভালো লাগছে। শীতের কষ্ট দূর হবে।’
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা
বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।
ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথম আলো ট্রাস্টে ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৬ টাকা অনুদান এসেছে।