মধ্যনগরে নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর তরুণের লাশ হস্তান্তর
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের নিখোঁজ তরুণ আলমগীর হোসেনের (১৮) লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ–পশ্চিম খাসিয়া হিল জেলার নকলাং থানা-পুলিশ। নিখোঁজের ১০ দিন পর আজ মঙ্গলবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মধ্যনগর থানা-পুলিশের কাছে তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মধ্যনগর উপজেলার মাটিয়ারবন সীমান্তের কাইতাকোনা এলাকা দিয়ে ওই তরুণের লাশ হস্তান্তর করা হয়। ১৭ জুন বিকেলে বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের বাকাতলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ওই তরুণ। তিনি ওই ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে।
লাশ হস্তান্তরের সময় মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক, মাটিয়ারবন বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার খাদেমুল ইসলাম, মধ্যনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহত তরুণের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বাকাতলা গ্রামের সামনের সড়কে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হন আলমগীর। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই তরুণের বড় ভাই জাহাঙ্গীর মিয়া ১৯ জুন মধ্যনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ২৫ জুন সকালে বাংলাদেশ সীমানা থেকে ভারতের তিন কিলোমিটার অভ্যন্তরে মেঘালয় রাজ্যের রংঢংগা এলাকার জঙ্গলে এক তরুণের লাশ পড়ে থাকার খবর পান নিহতের স্বজনেরা। পরে সেখান থেকে ছবি পাঠালে স্বজনেরা সেটি আলমগীরের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
মধ্যনগর থানার ওসি মো. জাহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের দক্ষিণ–পশ্চিম খাসিয়া হিল জেলার নকলাং থানা-পুলিশের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উপজেলার মাটিয়ারবন সীমান্তের ১১৯০/৮ এস মেইন পিলারের কাইতাকোনা এলাকা দিয়ে আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে আলমগীরের লাশটি হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।