খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের নামে দুদকের মামলা
প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সাবেক পাঁচ কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় মামলাটি করেন ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান।
মামলার আসামিরা হলেন খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত ইমরান, বিক্রির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সাবেক কমান্ডার ও মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ মতিউর রহমান, সাবেক কমান্ডার ও ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) এ এম রানা, সাবেক ক্যাপ্টেন ও মহাব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন) আনিছুর রহমান মোল্লা ও মেসার্স এসবি কনস্ট্রাকশনের মালিক মো. সাইদুজ্জামান।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালের দিকে নোয়াখালী বন বিভাগের ‘এমভি সৃজনী’ নামের একটি লঞ্চ খুলনা শিপইয়ার্ডে মেরামতের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও সে লঞ্চটি আর ফেরত নেয়নি বন বিভাগ। পরে লঞ্চটি বন বিভাগ থেকে খুলনা শিপইয়ার্ডকে দিয়ে দেওয়া হয়। ২০১০ সালে শিপইয়ার্ড লঞ্চটি বিক্রি করে দেয়।
দরপত্র অনুযায়ী লঞ্চটির সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫০ টাকা। পরে ওই দরদাতার কাছেই লঞ্চটি সংশোধিত দরপত্র আকারে বিক্রি করা হয় ২৫ লাখ ১০ হাজার টাকায়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লঞ্চটি কম দামে বিক্রি করে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাটি নিয়ে ২০১৪ সালের দিকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে আজ মামলা করা হয়েছে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপপরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ কারণে মামলা করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি আরও অনুসন্ধান করে তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন।