ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
ভারতের সঙ্গে পানিচুক্তির ন্যায্য হিস্যার দাবি, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তরবঙ্গে বন্যা হলে বাংলাদেশ তুমি অন্ধ কেন, ত্রাণ নয় স্থায়ী সমাধান চাই, এক দফা এক দাবি, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়ের দাবি, উত্তর বঙ্গ কী দেশের বাইরে?; বছর বছর ভাসতে চাই না, তিস্তার স্থায়ী সমাধান চাই, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই, উত্তরে কান্না, চুপ কেন বাংলা?; দিল্লি না তিস্তা, তিস্তা তিস্তা, তিস্তার কান্না, আর না আর না ইত্যাদি স্লোগান ও লেখাসংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আলমগীর বলেন, ‘খরার সময় আমরা পানি পাই না, আবার বন্যার সময় হাজার হাজার একর জমি বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। যখনই বন্যা হয় তখনই শুধুমাত্র সাময়িক ত্রাণ দিয়ে আমাদের সান্ত্বনা দেওয়া হয়। জাতীয় বাজেটেও উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করা হয়। আমরা এ ধরনের বৈষম্য চাই না। আমরা অতি দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই। আমরা ত্রাণ চাই না, আমরা বাঁচতে চাই।’
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এম এ ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা ত্রাণ চাইতে রাস্তায় দাঁড়াইনি, আমরা এসেছি তিস্তা পাড়ের মানুষের অধিকারের জন্য। আমরা আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য অধিকার চাই। পাশাপাশি নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হোক। এ অঞ্চলের মানুষের যেন পুনরায় পানিতে ভাসতে না হয় এবং এভাবে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় না দাঁড়াতে হয়, সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে।’
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ‘ভারত গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে তিস্তাসহ আশপাশের অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই অঞ্চলের মানুষেরা জীবনযাপনের যে ন্যূনতম অধিকার, সেটি ভোগ করতে পারছেন না। বাংলাদেশে একটা সিস্টেম চালু আছে, সবকিছু কেন্দ্রীভূত। কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য যদি উত্তরবঙ্গকে বাদ দিয়ে চিন্তা করেন তাহলে কোনো অবস্থাতেই উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারবেন না। উত্তরবঙ্গের জনগণ কোনো সাহায্য-অনুদান চায় না, তাঁরা এই সমস্যার একটা যৌক্তিক সমাধান চান। আন্তর্জাতিক নদীগুলোর ন্যায্য হিস্যা যদি ভারত না দেয়, আমরা প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাব।’