চুয়াডাঙ্গার এক ওসিকে যোগদানের দিনই আবার বদলি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন গতকাল মঙ্গলবার যোগদান করেন। একই দিন তাঁকে আবার বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে বদলির সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানা যায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য এই বদলি বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আলমডাঙ্গা থানা ছাড়াও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) খুলশী থানা, চট্টগ্রামের পটিয়া থানা ও গাইবান্ধার সাঘাটা থানার ওসির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোন ওসিকে কোথায় বদলি করা হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশন ওসি মো. মোশাররফ হোসেনকে বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আজ বুধবার এ ব্যাপারে আদেশ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যোগদানের উদ্দেশ্যে ওসি মো. মোশাররফ হোসেন গত শুক্রবার আলমডাঙ্গায় আসেন। সেখানে ডাকবাংলোতে রাত্রি যাপন করেন। ওই দিন রাত ১১টা থেকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সোনাহার মণ্ডলের সঙ্গে টানা তিন ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলে ফেসবুকে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের প্রতিনিধি হিসেবে সোনাহার মণ্ডল এ বৈঠক করেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল সকালে ওসি মো. মোশাররফ হোসেন আলমডাঙ্গা থানায় যোগদান করেন। পরে রাতে বদলির সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
এ ব্যাপারে ওসি মোশাররফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গতকাল রাত ৯টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি তিনি পাননি, তবে রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান নির্বাচন কমিশনের ওসি বদলির সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। গত ৩০ নভেম্বর এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দেশের কোনো থানায় ছয় মাসের বেশি দায়িত্ব পালন করছেন, এমন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।