রাঙামাটিতে সাফজয়ী ঋতুপর্ণা, মনিকা ও রুপনাকে সংবর্ধনা

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও রুপনা চাকমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আজ দুপুরে রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারি স্টেডিয়ামেসুপ্রিয় চাকমা

রাঙামাটিতে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের তিন ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও গোলকিপার রুপনা চাকমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের চিংহ্লামারী স্টেডিয়ামে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে জেলা পরিষদ, রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও রাঙামাটি জেলা পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে শোভাযাত্রায় ও খোলা ট্রাকে করে তিন ফুটবলারকে স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়। তিন ফুটবলারকে বরণ করে প্রত্যককে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন। পরে প্রত্যেককে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের পক্ষ থেকে ১ লাখ, জেলা পরিষদ পক্ষ থেকে ১ লাখ ও রাঙামাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।

ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও রুপনা চাকমা ছাড়াও ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান, মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীরসেন চাকমা, বর্মাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধারশমনি চাকমা, প্রশিক্ষক শান্তিমুনি চাকমা, ফিফা রেফারি জয়া চাকমাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরুপা দেওয়ান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪–এ নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। এতে রাঙামাটির মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমা টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন। দ্বিতীয়বারের মতো আবারও সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন রাঙামাটির নানিয়ারচর ইউনিয়নের ভুইয়ো আদাম গ্রামের রুপনা চাকমা। ২০২২ সালেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা গোলরক্ষকের খেতাব অর্জন করেন তিনি।