ইন্দুরকানিতে কিশোর হত্যায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার কলারণ গ্রামের রফিকুল ইসলাম (১৩) নামের এক কিশোরকে হত্যার দায়ে দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নূরুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন—ইন্দুরকানি উপজেলার কলারণ গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. হারুন (৫১) ও তাঁর ছোট ভাই আবুল কালাম (৩৪)।
রায় ঘোষণার সময় আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। মো. হারুন পলাতক। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামি জামাল হোসেন, কবির হাওলাদার ও নিপুন শেখকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কোড়ালিয়া গ্রামের মো. হালিমের ছেলে রফিকুল তাঁর মা সেলিনা বেগমের সঙ্গে ইন্দুরকানি উপজেলার কলারণ গ্রামে মামার বাড়িতে থাকত। ২০০৬ সালের ৮ মার্চ সকাল ছয়টার দিকে রফিকুল বড় ভাই রিয়াদুল ইসলামকে নিয়ে মামার বাড়ি থেকে বের হয়ে খেঁজুর গাছের রস সংগ্রহ করতে যায়। রিয়াদুল রস নিয়ে বাড়িতে যায় আর রফিকুল নামাজ আদায় করতে মসজিদের উদ্দেশে রওনা করে। সকাল আটটার দিকে একটি আলু খেতে রফিকুলের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামের মামা মোদাচ্ছের আলী বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জহুরুল ইসলাম। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন দেলোয়ার হোসেন ও মঞ্জুরুল আজম খান।