জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করে দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থানরত সামিউল ইসলামের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম দুই দফায় সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আজ রোববারের মধ্যে বিভিন্ন আবাসিক হলের অছাত্রদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করবেন। তবে এই আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় থাকবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী সামিউল।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীর দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবনে ফিরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সামিউলকে দেখার জন্য দিবাগত রাত ১২টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের (সামিউল যেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন) সামনে যান তিনি। এ সময় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও সেখানে যান।
উপাচার্য সামিউলকে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করেন এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে সামিউল ইসলাম দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ না দেখা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান। পরে উপাচার্য সাত দিন থেকে সরে এসে আজকের মধ্যে সব হলের অছাত্রদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। ব্যবস্থাগুলোর তথ্য সামিউলকে যেন নিয়মিত দেওয়া হয় সেই অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার রাতেও সামিউলের সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য নূরুল আলম। সেদিনও উপাচার্যকে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে অবস্থান থেকে সরবেন না বলে জানান তিনি। সামিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপাচার্য স্যার আসছিলেন। তিনি আজকের মধ্যে অছাত্রদের তালিকা তৈরি করে কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। আজকে তালিকা তৈরি করে আমাকে জানালে আমি স্যালাইন নেব। আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা অছাত্রদের বের করলেই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াব।’
আবাসিক হল থেকে গণরুম বিলুপ্ত করাসহ তিন দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সামিউল ইসলাম। গত বুধবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের খেলার মাঠে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী সামিউল মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।