চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, পরিবারের দাবি ‘পূর্বপরিকল্পিত’
গোপালগঞ্জে চোর সন্দেহে ফয়সাল শেখ (২৯) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ফয়সালের পরিবারের দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফোন করে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার গোলাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সার শেখ গোপালগঞ্জ পৌরসভার বেদগ্রামের শেখ শরিফুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চা বিক্রেতা ছিলেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ভোর গোলাবাড়িয়া গ্রামে যান ফয়সাল শেখ। এ সময় উত্তেজিত জনতা চোর সন্দেহে তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফয়সালের মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ সকালে গোলাবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এ ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ওই গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। বাড়িতে নারীরা অবস্থান করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
নিহত ব্যক্তির শ্বশুর সোহরাব মিয়া অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে কে বা কারা ফয়সাল শেখকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। পরে ভোরে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁরা ধারণা করছেন, ফয়সালকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে চুরির নাটক সাজানো হয়েছে।
ফয়সাল শেখের সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়ে ও এক মাসের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সোহরাব মিয়া বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আমার দাবি, যারা আমার মেয়েকে বিধবা বানিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’