আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও সহকারী জজ মোসা. শারমিন খাতুন বরাবর তিনি এ ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামকে চিঠি দিয়ে কেন তাঁর বিরুদ্ধে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ আয়োজন করে যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা তলব করেন। আজ সংসদ সদস্য লিখিত ব্যাখ্যা দিলেন।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান মোসা. শারমিন খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, সংসদ সদস্য লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ব্যাখ্যায় গত মঙ্গলবার নাটোর শহরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে শোভাযাত্রা বা সমাবেশের আয়োজন করেননি বলে জানান। দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁর অজান্তে ওই কর্মসূচির আয়োজন করেন। বিষয়টি জানার পরপরই আয়োজকদের ফিরে যাওয়ার ও রাস্তাঘাট ফাঁকা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপরও যানজট সৃষ্টি ও জনদুর্ভোগ হয়ে থাকলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান আরও বলেন, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। তাই সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম। এ সময় নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাওয়া হয়। পরে অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন তিনি। ঘণ্টাব্যাপী চলা শোভাযাত্রার কারণে শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। সংসদ সদস্যের ঢাকা থেকে নাটোরে আগমন উপলক্ষের ওই শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা।