সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে ইলিশের দাম, বললেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক
ইলিশ মাছের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেট আছে মন্তব্য করে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, ‘ইলিশের পেছনে জেলে কিংবা মাছ ব্যবসায়ী কারও কোনো ধরনের ইনভেস্টমেন্ট নেই, জিরো ইনভেস্টমেন্ট। তারপরও প্রতিবছর ইলিশের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আমি মনে করছি, এটা সিন্ডিকেটের কাজ। তারাই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন ইলিশের। এ জন্য আমি এই ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে থাকা অবস্থায় এই সিন্ডিকেট ভাঙব, যাতে করে ইলিশ সবাই খেতে পারে।’
গতকাল সোমবার রাতে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ আয়োজিত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদী এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশের জন্য বদলে যেতে হবে আমাদের সবাইকে। যেভাবে ছাত্ররা আন্দোলন করে বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে, ইলিশকে বাঁচাতে আমাদের সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ জন্য আমরা এবার অতিরিক্ত কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ সদস্য আনাব। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সহযোগিতা নেব, যাতে করে নিষিদ্ধ সময়ে একটি ইলিশও কেউ যেন ধরতে না পারে। এই ২২ দিন যে–ই ইলিশ ধরবেন বা কিনবেন তাঁকেই আমরা জেলে দেব। এ সময় এ জেলার কোথাও একটি বরফকলও খুলতে দেওয়া হবে না।’
অসময়ে মা ইলিশ বা জাটকা ইলিশ যাঁরা ধরেন চাঁদপুরের প্রতিটি এলাকা থেকে তালিকা করে সেই জেলেদের, গডফাদারদের এবার শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘তা ছাড়া চাঁদপুরে যে ৪৩ হাজার জেলের তালিকা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রকৃত জেলে নন। আমরা শিগগিরই হালনাগাদ করে প্রকৃত জেলেদের তালিকা করব।’
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, জেলা মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার, সাধারণ সম্পাদক হাজী শবেবরাত সরকার, মৎস্য ব্যবসায়ী আকবর আলী প্রমুখ।