হবিগঞ্জ শহরে ইজিবাইক থেকে ব্যবসায়ীকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লুট
হবিগঞ্জ শহরে এক ব্যবসায়ীকে ইজিবাইক থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধরের পর অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে শহরের বাণিজ্যিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাবুল রায় এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি তারা জোরালোভাবে তদন্ত করছে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বাদামতলী এলাকার ফলের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল রায় প্রতি সপ্তাহের মতো গতকাল বিকেলে হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজার এলাকায় যান। বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওনা আদায় করে তিনি একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে শহরের বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হন। ইজিবাইকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আরও দুই-তিনজন ব্যক্তি একই ইজিবাইকে ওঠেন। ইজিবাইকটি শহরের বাণিজ্যিক এলাকার মাতৃছায়া কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে পৌঁছালে বাবুল রায়ের সঙ্গে ওঠা ব্যক্তিরা ইজিবাইকটি থামিয়ে বাবুল রায়কে টেনেহিঁচড়ে পাশের একটি মার্কেটে নিয়ে যান। এ সময় মার্কেটটি সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ থাকলেও প্রবেশপথ ছিল খোলা। সেখানে নিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁর সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় লোকজন মারধরে আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
বাবুল রায় প্রথম আলোকে বলেন, তিনি পাওনা টাকা তুলে একটি ইজিবাইকে করে শহরের বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা তাঁকে মারধর করে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, ছিনতাইকারীরা তাঁকে আগ থেকেই অনুসরণ করে আসছিল, সে বিষয়টি তিনি আঁচ করতে পারেননি।
হবিগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শামছু মিয়া বলেন, শহরে শনিবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি। ওই সময় শহরটি নীরব থাকে। ছিনতাইকারী হয়তো এ সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে। এ ধরনের ছিনতাই সম্প্রতি হবিগঞ্জে ঘটেনি। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছেন। তিনি ঘটনাটি বের করতে পুলিশের সহযোগিতা চান।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, এ ঘটনায় তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে বেশ জোরালোভাবে। আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ক্লিপ তাঁরা সংগ্রহ করছেন।