হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট, বগুড়ায় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
বগুড়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের ছয় নেতাকে নিজেদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সংগঠন দুটির জেলা শাখার পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ-পরবর্তী সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছাড়াও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসানসহ বেশ কয়েকজন নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে থাকা পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়, অটোরিকশা স্ট্যান্ড, বিপণিবিতান, সারিয়াকান্দিতে যমুনার বালুমহালসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রাতারাতি দখল হয়ে যায়। এসব ঘটনায় নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক শাহাদত হোসেনের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চারজনকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান আলী (রাঙ্গা), লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সুমন সরকার, গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল ও শাজাহানপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম আজ রোববার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও কর্ণীবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (দীপন) প্রামাণিক ও সদস্যসচিব সোহেল রানাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক নাদিম মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন নেতাকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।