ঢাকা–বরিশাল আকাশপথে ফ্লাইটসংখ্যা কমাচ্ছে ইউএস–বাংলা
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে যাত্রীসংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে এবার বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এ আকাশপথে তাদের ফ্লাইট কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে যাত্রীসংকটে এক আগস্ট থেকে ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে নভোএয়ারের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়। একই কারণে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫ আগস্ট থেকে সপ্তাহে তিন দিন (বৃহস্পতি, শুক্র ও রোববার) ফ্লাইট চালু রাখার ঘোষণা দেয়।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বরিশাল বিমানবন্দর ইনচার্জ সাইফুর রহমান সোমবার দুপুরে বলেন, ২২ আগস্ট থেকে ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে প্রতিদিন ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট চলাচল করবে। এখন প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুটি করে ফ্লাইট চালু রয়েছে।
যাত্রীসংকট থাকার কথা স্বীকার করে সাইফুর রহমান বলেন, ঢাকা-ব্যাংকক এবং ঢাকা-কলকাতা আকাশপথে ফ্লাইট বাড়ানো হয়েছে। তাই ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ২২ আগস্ট থেকে এই পথে বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ৫টায় বরিশাল এসে আবার ৫টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট বরিশাল ত্যাগ করবে।
ইউএস-বাংলার বরিশাল সেলস অফিসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, এখন ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে তাঁদের ৭০ আসনের উড়োজাহাজ যাত্রী পরিবহন করছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রায় প্রতিটি ফ্লাইটে এক-তৃতীয়াংশ আসন ফাঁকা যাচ্ছে।
বরিশাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর বরিশাল-ঢাকা আকাশপথে যাত্রীসংখ্যা কমতে থাকে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়ে বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা।
যাত্রী ধরে রাখতে ঈদুল আজহার পর তারা ভাড়া কমিয়ে দেয়। ইউএস-বাংলা প্রতি আসনে সাড়ে চার হাজার থেকে কমিয়ে সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে। আর নভোএয়ার ৪ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা করে। বাংলাদেশ বিমানও একই পথ অনুসরণ করে ২০০ টাকা ভাড়া কমায়। এরপরও খরচ তুলতে পারছিল না সরকারি-বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো।