ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসকের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল চত্বরেছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহীন জোদ্দারের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে প্রতীকী কর্মবিরতি ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি ও বিএমএ ফরিদপুর শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। চিকিৎসকেরা অতি দ্রুত হামলাকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।

এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন কবীর, উপাধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোর্শেদ (ক্যানসার বিশেষজ্ঞ), সিনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ফারুক আহমেদ, চিকিৎসক সানিয়াত জামান (বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি) প্রমুখ। এ সময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, তাঁরা সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করতে চান না। তবে সবার আগে তাঁদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে ঢুকে কর্মরত চিকিৎসককে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে জখম করে যায়, সেখানে সেবা দেওয়ার পরিবেশ থাকে না। এ জন্য অতি দ্রুত প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তা দেখতে চান।

আরও পড়ুন

গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় হামলার শিকার হন শাহীন জোদ্দার। কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তাঁর সঙ্গে মোত্তাকিম নামের এক ইন্টার্ন নার্সের ধাক্কা লাগে। তখন দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে বহিরাগত ব্যক্তিরা এসে ওই চিকিৎসকের ওপর হামলা করেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ওই ঘটনায় মোত্তাকিমসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ দিলরুবা জেবা। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি মোত্তাকিমের বাবা, মাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।