খুলনার শিববাড়ী মোড়ে বিক্ষোভে হাজারো আন্দোলনকারী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আজ সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা খুলনার শিববাড়ী মোড়ে অবস্থান নেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বিক্ষোভকারীর সংখ্যাছবি: সাদ্দাম হোসেন

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গণসমাবেশে জড়ো হয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে নগরের শিববাড়ী মোড়ে আসতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাজারো শিক্ষার্থী ও জনতা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। তাঁরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিচ্ছেন।

মূল সমাবেশস্থলের অদূরে নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীদেরও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বিক্ষোভে নগরের শিববাড়ী চত্বর থেকে বিভিন্ন স্থানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সমাবেশস্থলের আশপাশে বিজিবির কয়েকটি গাড়ি থাকলেও পুলিশের অবস্থান দেখা যায়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির সমর্থনে আজ দুপুর ১২টার দিকে গোলকমনি শিশুপার্কে কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য। সংগঠনটির পক্ষে আইনজীবী কুদরত ই খুদা এ তথ্য জানান। এ ছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি দুপুর আড়াইটায় কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে আজ রোববার নগরের সাতটি স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, বিকেল ৪টায় সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার ১৬ ওয়ার্ডের ৭টি স্থানে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩০, ৩১ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ বড় খালপাড় আল আমিন জামে মসজিদ চত্বর, ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সাতরাস্তার মোড়, ২২ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড নতুনবাজার মোড়, ২১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং মহানগর পর্যায়ের সব সহযোগী সংগঠন মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে, ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড খলিল চেম্বার মোড়, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বানরগাতী খালাশীর চাতালে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।

সভায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, বিএনপি ও নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াত-শিবির ছাত্রদের আন্দোলনের ওপর ভর করে দেশে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করতে সুপরিকল্পিতভাবে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা করছে। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, একাত্তরের মতো আবারও পাকিস্তানের গোলামদের কাছ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে হবে। বিএনপি ও নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না।