কুষ্টিয়ায় পুনর্বাসনকেন্দ্র থেকে তরুণী নিখোঁজ

কুষ্টিয়ার সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্রছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র থেকে এক তরুণী নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পুনর্বাসনকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। পুনর্বাসনকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দাবি, ওই তরুণী দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছেন।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরপরই সেখানে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়। বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে কুষ্টিয়া শহরের বটতৈল এলাকায় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্রটি অবস্থিত। কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নাজনীন নাহার বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিনাজপুর থেকে আদালতের মাধ্যমে ওই তরুণীকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে আসে। তরুণীর বাড়ি ফেনীর সোনাগাজীতে বলে কাগজপত্রে উল্লেখ করা হয়। তাঁর আচার-ব্যবহার খুবই ভালো ছিল। তবে গতকাল হঠাৎ জানতে পারেন, মেয়েটি বেলা ১১টার দিকে সীমানাপ্রাচীর টপকে পালিয়ে গেছেন।

পুনর্বাসনকেন্দ্রে বসবাস করা মেয়েদের অভিযোগ, তাঁদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় না ঠিকমতো প্রশিক্ষণ। এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন থেকে বাঁচতে ওই তরুণী পালিয়ে গেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে নাজনীন নাহার বলেন, ‘আমরা সব সময় ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করি। কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্যাতনের ঘটনা এখানে ঘটেনি। দুর্নীতি, অনিয়ম ও নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মেয়েটি হয়তো কারও প্ররোচনায় চলে যেতে পারেন।’

কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল লতিফ বলেন, ‘পুনর্বাসনকেন্দ্র থেকে তরুণী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় কারও কোনো গাফিলতি বা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মেয়েটিকে উদ্ধারে আশপাশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান।

এর আগে ২ নভেম্বর কুষ্টিয়া সরকারি শিশু পরিবার (বালক) থেকে ১২ বছর বয়সী রাইহান হোসেন (রিজভী) নামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু নিখোঁজ হয়। ৪ নভেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করে সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও শিশুটির হদিস পাওয়া যায়নি।