নওগাঁয় আরও তিন আড়তদার ও দুই চালকলমালিককে জরিমানা

একটি ধানের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। গতকাল বুধবার বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রাউতাড়া বাজারেছবি: সংগৃহীত

নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত রাখার দায়ে তিন ধান আড়তদার ও দুই চালকলমালিককে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নওগাঁর নিয়ামতপুর ও মহাদেবপুর উপজেলার তিনটি ধান আড়ত ও দুটি চালকল গুদামে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়। এ সময় একটি ধান আড়তের গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার রাউতাড়া বাজারের মেসার্স বাবু সোনা নামের একটি ধান আড়তের গুদামে অবৈধভাবে ধান মজুতের দায়ে ব্যবসায়ী মোর্শেদ আলমকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে লাইসেন্স ছাড়াই ধান মজুতের দায়ে গুদামটি সিলগালা করা হয়। উপজেলার গাবতলী বাজার এলাকায় নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ধান মজুত করায় আবু বক্কর নামের এক ধান ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে মাহমুদুল্লাহ নামের ওই বাজারের আরেক ধান আড়তদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মোর্শেদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব জরিমানা করা হয়।

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান বলেন, বিভিন্ন চালকলে মজুতবিরোধী অভিযান চলাকালে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের থ্রি স্টার রাইস মিলে বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া যায়। চাল ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ তাদের সংরক্ষণে ছিল না। মজুত করা চালের সঠিক হিসাব রাখেনি প্রতিষ্ঠানটি। এই অপরাধে থ্রি স্টার রাইস মিলের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাসলিমা রাইস মিল নামের আরেক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করলে অতিরিক্ত ধান মজুত রাখার অপরাধে মিলের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন

জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, ধান ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত মঙ্গলবার থেকে জেলার বিভিন্ন ধান ও চালের প্রতিষ্ঠানে মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নিয়ামতপুর ও মহাদেবপুর উপজেলার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫ প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অবৈধভাবে মজুত করা এসব ধান ও চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি তদারক করবেন।