কলমাকান্দায় দুটি মণ্ডপের আঙিনায় পানি, দুর্গাপূজা আয়োজনে ভোগান্তি
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার দুটি পূজামণ্ডপের আঙিনায় আজ সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত বন্যার পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীরা। তাঁরা বলছেন, পানির কারণে পূজামণ্ডপ ও আঙিনা সজ্জিত করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া দৃষ্টিনন্দন ফটক ও প্যান্ডেলের কাজও বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট পূজা কমিটি জানিয়েছে, পানি থাকলেও নিয়ম মেনেই চলবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে নেত্রকোনার প্রায় সব নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকে। এ ছাড়া শেরপুরের ভোগাই–কংসের পানি জারিয়া এলাকায় কংস নদ দিয়ে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীতে প্রবাহিত হয়। এতে দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও নেত্রকোনা সদর—এই পাঁচ উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নে ১৩১টি গ্রামের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। এসব এলাকার মোট সাতটি পূজামণ্ডপও প্লাবিত হয়। পাঁচটি মণ্ডপ থেকে পানি নেমে গেছে। তবে কলমাকান্দার দুর্গাবাড়ি নয়াপাড়া মহাশ্মশানঘাট ও যাত্রাবাড়ি পূজামণ্ডপের আঙিনায় আজ সকালেও পানি ছিল।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা বলেন, আজ ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা; আগামী রোববার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ আয়োজনের শেষ হবে। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজার প্রস্তুতি চলছে। তবে দুটি মণ্ডপে পানির কারণে কিছুটা বেগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে বন্যাদুর্গত কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরে দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদ্যাপনের লক্ষ্যে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা–সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বিএনপি। দুই উপজেলার ১১২টি মণ্ডপে ১ হাজার ৩৪৪ জন নেতা-কর্মী নিরাপত্তা সহায়তা করছেন বলে জানান কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ খায়ের। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুষ্ঠুভাবে পূজা সম্পন্ন হবে এবার।
কলমাকান্দা ইউএনওর দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল ইসলাম জানান, নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।