কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির জন্য এটাই শেষ ছাড়: প্রধানমন্ত্রী

কিশোরগঞ্জে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে নৌকার প্রার্থীদের জন্য ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল কিশোরগঞ্জ পুরোনো স্টেডিয়ামেছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির জন্য আওয়ামী লীগের এটাই শেষবারের মতো আসনছাড় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচনের প্রচারণায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কিশোরগঞ্জ পুরোনো স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় দেখানো হয়।

কিশোরগঞ্জের সবগুলো আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিশোরগঞ্জ-৩–এর সময় আসতেই প্রধানমন্ত্রী থেমে যান। এরপর তিনি বলেন, ‘এটার জন্য আমার দুঃখ হয়। এই নিয়ে পরপর চারবার জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের জন্য নৌকা ছাড় দিতে হয়েছে। তবে এটাই শেষ। এরপর আর লাঙ্গলের জন্য নৌকা ছাড় দেওয়া হবে না।’

আরও পড়ুন

বক্তব্যে কিশোরগঞ্জের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জন্য ভোট চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারও আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন।’

নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যার যার ভোট সে দিবে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। আপনারা সকলেই সেটা মেনে নিবেন।’

কিশোরগঞ্জ পুরোনো স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বড় পর্দায় প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

ভিডিও কনফারেন্সে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আফজল। অনুষ্ঠানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের আবুল কাহার আকন্দ ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন। এ সময় স্টেডিয়ামে হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে গত তিনটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সংসদ সদস্য হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় ভর করে এই আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই মোকাবিলা করতে হয়নি তাঁকে। গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগও কোনো প্রার্থী দেয়নি। এই নেতার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য ক্ষুব্ধ করেছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের। এর ফলে তাঁর বিরুদ্ধে এবার এককাট্টা এই আসনের আওয়ামী লীগ ঘরানার তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।