মঠবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মতিয়ার রহমান (৫৪) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বাজারের প্রসাধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে মতিয়ারকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে প্রতিবেশী পঙ্কজ খরাতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল মতিয়ারের। এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। পঙ্কজ খরাতি মামলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় সম্প্রতি তাঁর মেয়েকে দিয়ে মতিয়ার রহমানের ভাই জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পাথারঘাটা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ জাকিরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। গত শনিবার সকালে মতিয়ার বরগুনায় গিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে জাকিরের জামিনসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন। রাতেই তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। আজ আদালতে জামিন আবেদন করার কথা ছিল।
মতিয়ারের স্ত্রী রহিমা খাতুন বলেন, আজ ভোরে পঙ্কজ খরাতির নেতৃত্বে কয়েকজন বাড়িতে এসে তাঁকে ওড়না দিয়ে হাত–পা বেঁধে ফেলেন। এরপর মতিয়ারকে টেনেহিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে রহিমা খাতুনের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে হামলায় অংশ নেওয়া লোকজন পালিয়ে যান। অচেতন অবস্থায় মতিয়ারকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই পঙ্কজ খরাতি পলাতক। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফেরদৌস ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মতিয়ারের মৃত হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন করার পর লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।