১৫ বছরে শিল্পমন্ত্রীর আয় সম্পদ সবই বেড়েছে
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ১৫ বছরে বার্ষিক আয় বেড়ে প্রায় ১৪ গুণ হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে প্রায় ৯ গুণ এবং স্থাবর সম্পদ হয়েছে ১৯ গুণের বেশি। তিনি নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। এবারও তিনি দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে সম্পদ বৃদ্ধির এই তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি অভ্যন্তরীণ মালামাল পরিবহনের জাহাজের ব্যবসা ও চিংড়ি চাষ থেকে আয় দেখিয়েছেন ৮৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা (বাৎসরিক)।
শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকের আমানত বা সুদ থেকে আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এই খাতে তাঁর নির্ভরশীলদের (স্ত্রী) আয় ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার বেশি। স্ত্রীর অন্যান্য খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৬৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া মন্ত্রীর আয়ের আরেকটি উৎস হলো জাতীয় সংসদ থেকে বেতন ও ভাতা। এখান থেকে তিনি আয় দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ উপলক্ষে দেওয়া হলফনামায় নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উল্লেখ করেছিলেন, সেই সময় তাঁর মোট বার্ষিক আয় ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
এবার অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উল্লেখ করেছেন, তাঁর নগদ আছে ৭০ লাখ ২৮ হাজার টাকার কিছু বেশি। ব্যাংকে জমা আছে আরও প্রায় ৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত হিসেবে তাঁর বিনিয়োগ ৭৪ লাখ ২৬ হাজার টাকার কিছু বেশি। এ ছাড়া ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেলের অর্জনকালীন মূল্য উল্লেখ করেছেন ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ১৬ ভরি সোনা, ৭৬ হাজার টাকার ইলেকট্রনিকসামগ্রী ও ৯০ হাজার টাকার আসবাব রয়েছে তাঁর।
অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে ২০০৮ সালে ছিল ৩৬ লাখ ১৪ হাজার টাকার কিছু বেশি।
স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে এবার অকৃষিজমি হিসেবে পূর্বাচলে ৭৮ লাখ টাকা মূল্যের ৫ কাঠার দুটি প্লট ও গুলশানে ৬১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে নূরুল মজিদ মাহমুদের। গুলশানে তাঁর স্ত্রীর ৩০ লাখ ৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এ ছাড়া চিংড়ি খামার খাতে অর্জনকালীন সময়ে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিনিয়োগ ৩৬ লাখ ৯১ হাজার টাকার কিছু বেশি। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ মালামাল পরিবহনের কার্গো জাহাজ ব্যবসায় তাঁর মূলধন ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
তবে জাহাজ ব্যবসার জন্য তিনি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক গুলশান শাখা থেকে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ঋণ করেছেন। ২০০৮ সালে তাঁর স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৫০ লাখ ৯১ হাজার টাকা। তাঁর নামে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই।