চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর এক ভাইকে কান ধরিয়ে লাঞ্ছিত করা এবং বোনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুরে শান্তিরহাট ও পানওয়ালা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে ও প্রধান নির্বাচন সমম্বয়কারী নাজমুল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শান্তিরহাট এলাকা থেকে তাঁরা প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করেন। প্রচারণা শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মাথায় তাঁদের ওপর হামলা হয়। পরে তাঁর চাচা ফজলুল হক চৌধুরীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অস্ত্র তাক করে কানে ধরতে বাধ্য করা হয়। তাঁর চাচাও জীবন বাঁচাতে কানে ধরতে বাধ্য হয়েছেন।
নাজমুল করিম বলেন, ওই ঘটনার পর বিকেলে গণসংযোগ করতে গাড়ি নিয়ে তাঁরা কুসুমপুরা ইউনিয়নের পানওয়ালা এলাকায় যান। সেখানে আরেক দফা হামলা চালানো হয়। মারধর করা হয় তাঁর ফুফু রেখা চৌধুরীকে। নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর বারবার হামলা করেছেন। তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
সামশুল হক চৌধুরীর বোন রেখা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ভাইয়ের সঙ্গে গণসংযোগে বের হয়েছিলেন। এ সময় নৌকার সমর্থকেরা কিরিচ, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর গাড়িতে হামলা করেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাঁকেও মারধর করা হয়। মারধর করতে করতে নৌকার সমর্থকেরা বলেন, ‘সামশুলকে এখানে ঢুকতে দেব না। নির্বাচন করতে দেব না।’
তবে হুইপের ভাইকে কানে ধরানো ও বোনকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ ক শামশুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রচারণা নিয়ে আছেন। কাউকে কানে ধরিয়ে লাঞ্ছিত করা ও মারধরের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ আসন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন নয়জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর মধ্যে হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই এই আসনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁদের সমর্থকদের ওপর এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ বার হামলা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। নৌকার সমর্থকেরাই এসব হামলা করেছেন।