লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের ৪ জনের ওপর হামলার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীর ওপর গুলি ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ ওরফে বাবলুকে প্রধান আসামি করে এ মামলা করা হয়।
ঘটনার তিন দিন পর গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এই মামলা করা হয়। গুলিবিদ্ধ এম সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আহত এম সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। বাকি তিনজন হলেন ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুল পাটওয়ারী, সাইফুল ইসলাম ও মো. রাফি। তাঁরা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার যদির পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী এম সজীবসহ চারজন আহত হন। সজীব গুলিবিদ্ধ হন। অন্যদের কুপিয়ে আহত করা হয়। সজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ সভা করেছেন। তাঁরা তাঁর গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, ‘রমজানের শুরু থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুনুরের সঙ্গে আমার বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে আমার লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
তবে ঘটনার পর চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘হামলা ও গুলির ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো লোকজন জড়িত ছিল না। ঘটনার পর আমি শুনেছি।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, গুলি ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।