সিলেটে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি

সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় বুধবার দুপুরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছবি: প্রথম আলো

সিলেটে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় ছাত্রদলের দুই কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে সিলেট নগরের বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রদল কর্মীরা হলেন জুবায়ের আহমদ ও মাহফুজ আহমদ।

সিলেট ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে সমর্থন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। এ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। সেটি প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলিতে দুই কর্মী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে বন্দরবাজার মহাজনপট্টি এলাকা থেকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

একপর্যায়ে পুলিশের ওপর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে আবার জিন্দাবাজার, পুরান লেন ও হাসান মার্কেট এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের অবস্থান
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলাম বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে তাঁদের কর্মসূচি চলাকালে হামলা চালায়। সংগঠনের সদস্যরা তা প্রতিহত করেছেন। পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা চলছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছোড়েন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ান। এ সময় পুলিশ সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় তাঁদের ছাত্রভঙ্গ করতে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে। এতে পুলিশের কেউ হতাহত হননি।