সৈয়দপুরে মাটি ফেলে কালভার্ট বন্ধ করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

নীলফামারী জেলার মানচিত্র

নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকার পানিনিষ্কাশনের নালার কালভার্ট মাটি ফেলে ভরাটের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার সন্ধ্যায় শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক তাঁরা অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উভয় পার্শ্বে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

অবরোধে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, সৈয়দপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াপদা পশ্চিমপাড়া এলাকায় মহাসড়ক থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের পেছনের দেয়াল ঘেঁষে যাওয়া রাস্তায় এলাকার পানিনিষ্কাশনের জন্য একটা কালভার্ট রয়েছে। এই কালভার্টের পশ্চিম-দক্ষিণ পাশের জমি কিনেছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি জয়নাল আবেদীন। সম্প্রতি সেই জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে মাটি ভরাট করছেন। আজ সকালে কালভার্টের উভয় পাশের নালায়ও মাটি ফেলে ঢেকে দিয়েছেন তিনি। এতে এলাকার লোকজন নিষেধ করলেও কর্ণপাত করেননি। ফলে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, তাঁরা বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান এবং নালা ও কালভার্ট থেকে মাটি সরিয়ে নিয়ে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা বহাল রাখার দাবি জানান। কিন্তু জয়নাল আবেদীন, তাঁর ছেলে রফিকুল ইসলাম, সহযোগী নবাব হোসেন, দুলাল মেম্বারসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জন এলাকাবাসীর ওপর চড়াও হন এবং কোনোভাবেই মাটি সরানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এতে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে দাবি আদায়ে পাশেই মহাসড়কে অবস্থান নেন। এর ফলে মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টার এই অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উভয় পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

অভিযোগের বিষয়ে জাপা নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, তাঁর জমির মাপ অনুযায়ী তিনি মাটি ফেলেছেন। এখানে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।

পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই–আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।